আরও শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেওয়া ‘আম্ফান’ বাংলাদেশ উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। গত ৬ ঘণ্টায় বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানার দিকে ১০০ মিলোমিটার এগিয়েছে এ ঘূর্ণিঝড়টি। মহামারি করোনার মধ্যেই ধেয়ে আসছে এই ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। শক্তি সঞ্চয় করে সুপার সাইক্লোনে রূপ নেয়া ঝড়টি আঘাত হানতে পারে মঙ্গলবার (১৯ মে) রাতে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আম্ফান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৪০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের মতে, আম্ফান উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে খুলনা ও চট্টগ্রামের মধ্যবর্তী অঞ্চল দিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মে) শেষরাত থেকে বুধবার (২০ মে) বিকেল অথবা সন্ধ্যার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করতে পারে।
এর আগে রাত ১২টার বুলেটিনে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছিল আম্ফান চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৩০ কিলোমিটার দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৭৫ কিলোমিটার দক্ষিণ- দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।
আবহাওয়াবিদ ড. সাইফুল ইসলাম বলেন, এটার শক্তিশালী সিডরের মতো। তবে দেখা যাচ্ছে সুন্দবনের ওপর দিয়ে গেলে কম বাতাস পাব। জলবায়ুবিদ ও বুয়েট শিক্ষক বজলুর রহমান বলেন, এ ধরনের সাইক্লোন আমরা দেখেছিলাম ভোলা বা ১৯৯১ বা সিডরে। ৪ থেকে ৬ মিটার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উপকূলীয় এলাকায় শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে পড়বে।
এ কারণে প্রয়োজন বিশেষ প্রস্তুতির পরামর্শ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞদের। সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল নেওয়াজ বলেন, সামাজিক দূরত্ব ও সব রকমের স্বাস্থ্যবিধি রেখেই আম্ফানের ব্যবস্থা করতে হবে। শরীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করেই আম্ফান মোকাবিলার যথাযথ প্রস্তুতি রয়েছে বলে দাবি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর।
ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ ৫০ বছর ধরে এরক দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে রোল মডেল। কাজেই এটা আমাদের অতিরিক্ত চাপ না। ঝড়ের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে জনগণকে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ারও আহ্বান জানান মন্ত্রী।