বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

ফার্নিচার ব্যবসা ছেড়ে এমবিবিএস ডাক্তার

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০১৯
  • ১১৫৩ Time View

১৯৮৯ সালে এইচএসসি পাস করেছিলেন তিনি। কিন্তু গত ১২ বছর ধরে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। মোস্তাক আহমেদ ওরফে এমএ করিম বশির (৪৩) নামের এই ভুয়া ব্যক্তি এমবিবিএস ডাক্তার সেজে স্থানীয় কয়েকটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখেন। ফি নেন ২০০ টাকা।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ের হক সুপার মার্কেটের তিনতলায় নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বসে রোগী দেখার সময় সোমবার রাত ৯টার দিকে মোস্তাক আহমেদ করিমকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-১১-এর সদস্যরা।

এ সময় তার চেম্বারে পাঁচজন রোগী উপস্থিত ছিলেন। এর মধ্যে দুইজন ছিলেন পুরনো রোগী। ডাক্তারের দেয়া এক্স-রে ও রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট দেখাতে এসেছেন এসব রোগী।

অভিযানের সময় তার চেম্বার থেকে ডা. মো. মোস্তাক আহমেদ (করিম) এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি (ইমনটি ও হৃদরোগ) চিফ মেডিকেল অফিসার, সিকদার গ্রুপ, হাড়জোড়া, বাত ব্যথা, মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ (ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল) এমন অনেক ভিজিটিং কার্ড, প্রেসক্রিপশন এবং প্যাড উদ্ধার করা হয়।

পরে তাকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। গ্রেফতার মোস্তাক আহমেদ কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার সালেহাকান্দি এলাকার মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে। ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় থাকেন তিনি।

র‌্যাব জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের হীরাঝিলের হাজী রজ্জব আলী সুপার মার্কেটে একটি ভুয়া কারখানা গড়ে তুলে পানি ব্যবসা করতেন মোস্তাক। নলকূপের পানি বোতলে ভরে মিনারেল বলে বিক্রি করতেন তিনি। এর আগে ফার্নিচারের ব্যবসা করতেন। নামের সঙ্গে মিল থাকা সরকারি নিবন্ধনকৃত (২৬৬৩৩ নং) ডাক্তার মো. মোস্তাক আহমেদের কোড ব্যবহার করে নিজেকে এমবিবিএস (ডি-অর্থো), পিজিটি (ডি-অর্থো), পিজিটি (হৃদরোগ), চিফ মেডিকেল অফিসার, হাড়জোড়া, বাত ব্যথা ও মেরুদণ্ড বিশেষজ্ঞ বলে পরিচয় দেন তিনি।

একই সঙ্গে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নামে প্যাড ছাপিয়ে রোগীদের প্রেসক্রিপশন দিয়ে গত ১২ বছর ধরে ডাক্তার সেজে রোগী দেখে আসছেন।

মঙ্গলবার দুপুরে র‌্যাব-১১-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারিতে নিশ্চিত হয়ে নিউ মুক্তি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয়। পরে এইচএসসি পাস ভুয়া এমবিবিএস ডাক্তার মোস্তাক আহমেদ করিমকে রোগী দেখার সময় হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দীন চৌধুরী আরও বলেন, বিএমঅ্যান্ডডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে নিজের নামের সঙ্গে মিল থাকায় ডা. মো. মোস্তাক আহমেদের রেজিস্ট্রেশন দেখান করিম। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন নিবন্ধনকৃত ডা. মোস্তাক আহমেদ আর করিম এক ব্যক্তি নয়। নামের সঙ্গে মিল থাকায় ১২ বছর ধরে ভুয়া ডাক্তার সেজে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগী দেখে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন করিম।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin