করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্থ ৫০ লাখ পরিবারকে সরকারের দেয়া ২৫০০ করে টাকা নগদ অর্থ সহায়তার তালিকায় দুর্নীতির দেখা মিলেছে। হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবারকে এই সহায়তা দেয়ার কথা থাকলেও একটা মোবাইল নাম্বার ভিন্ন নাম পরিচয়ে ২০০ বার ব্যবহার করা হয়েছে। ধনী ও চেয়ারম্যান মেম্বারের আত্মীয় স্বজনরাও তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন।
জানা যায়, লাখাইয়ের ৬ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৭২০টি পরিবার এই নগদ অর্থ সহায়তা পাচ্ছে। যার জন্য উপজেলা প্রাশাসনের কাছে খসড়া তালিকাও জমা দিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
কিন্তু তালিকা খতিয়ে দেখা যায়, উপজেলার মুড়িয়াউক ইউনিয়নে ৪ টি মোবাইল নাম্বার মোট ৩০৬ জনের নামের পাশে ব্যবহার করা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ঘনিষ্ঠজনদের এই তালিকায় অনেক ধনী ও তার নিকটাত্মীয়দের নামও এসেছে। স্বামী স্ত্রী ছাড়াও পরিবারের একাধিক সদস্যকে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
শুধু মুড়িয়াউক ইউনিয়নই নয়, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নেই এ ধরনের ভুল হয়েছে এবং সর্বোচ্চ ২শ বার একেকটি মোবাইল নম্বর ব্যবহৃত হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনে কর্মরত এক কর্মচারী।
এ ব্যাপারে মুড়িয়াউক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মলাই জানান, অল্প সময়ের মধ্যে তালিকা তৈরির কারণে ভুল হয়েছে। অসংখ্যবার মোবাইল নম্বর ব্যবহারের ভুলটি করেছেন উপজেলা প্রশাসনের কম্পিউটার অপারেটররা। যেগুলো সংশোধনের কাজ চলমান।
করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসোলেশনে থাকায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) লুসিকান্ত হাজংয়ের সঙ্গে। মোবাইলে বারবার কল দিলেও তা রিসিভ করেননি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সঞ্চিতা কর্মকার।