করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে রমজানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জোন বা এলাকা অনুযায়ী মার্কেট বা দোকান-পাট খোলা হবে। তবে রাস্তার পাশের দোকান-পাট খোলা যাবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
একই সঙ্গে দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে এবং কেউ চাইলে নাও খুলতে পারেন বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা জোন ওয়াইজ মার্কেট খোলার চিন্তা করছি। যাতে জনসাধারণকে বাইরে বা দূরে যেতে না হয়। যে এলাকায় লোকজন থাকে তার কাছাকাছি মার্কেটগুলো খোলার ব্যবস্থা করা হবে। তবে মার্কেটে যে অনেক ক্রেতা হবে সে সম্ভাবনা খুবই কম। এজন্য ঢাকা শহরকে কয়েকটা জোনে ভাগ করা হবে যাতে জনসাধারণকে দূরে যেতে না হয়।
‘মানুষ যেন হাঁটাপথের মধ্যে কাছাকাছি স্থানে মার্কেটে পৌঁছাতে পারে সে ধরনের চিন্তাভাবনা করছি। দু’একদিনের মধ্যে সে চিত্রটাও আমরা পেয়ে যাবো।’
মার্কেট খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। তাহলে ক্রেতা মার্কেটে আসবে কীভাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিক্রেতারা সিদ্ধান্ত নেবে যে তার দোকান খুলবেন কিনা। আমরা বলেছি তারা খুলতে পারবেন। যদি সমস্যা থাকে তাহলে খুলবে না। এটাও সত্যি কথা কেমন করে মানুষজন মার্কেটে আসবেন। তবে কোনো না কোনোভাবে তারা চলে আসেন।
কারা দোকান খোলার আবেদন করেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকান মালিক সমিতির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই ঈদ সামনে রেখে সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১০ মে সকাল ১০টা থেকে চারটা পর্যন্ত দোকান-পাট ও শপিংমল খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বড় দু’টি শপিংমল সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা মল খুলবে না। এটা তাদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে যারা খুলবে তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা না মানবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।