মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

অবশেষে যে নিয়মে গণপরিবহন চালু হচ্ছে বিস্তারিত

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০২০
  • ৩৩৫ Time View

সবকিছু ঠিক থাকলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৭ মে থেকে সীমিত আকারে দেশে গণপ’রিবহন চালু হ’চ্ছে। তবে ঈদের সময় চা’রদিন সম্পূ’র্ণভাবে তা ব’ন্ধ থাকবে। গণমা’ধ্যমের সঙ্গে আলা’পকা’লে জনপ্রশাসন প্রতি’মন্ত্রী মো. ফর’হাদ হোসে’ন এসব কথা জানি’য়েছেন। তবে বাস, ট্রেন, নৌ কর্তৃপক্ষ এখ’নো এ বিষ’য়ে জানে না।

প্রতিমন্ত্রী মো. ফ’রহাদ হোসেন বলেছে’ন, জী’বিকার তাগিদে একটু একটু করে সবই চালু করতে হবে। তবে তা স্বাস্থ্যবিধি মেনে। স্বাস্থ্য’বিধি মেনে গণপরিবহন কিভাবে চলবে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৪০ সিটের গাড়ি ২০ সিট পরিপূর্ণ হবে। অর্থাৎ এক আসন ফাঁকা রেখে মানু’ষকে বসাতে হবে। গা’ড়িতে উঠার আগে স্যানি’টাইজার দিয়ে হাত ধু’য়ে দিতে হবে। জী’বাণু’নাশক স্প্রে ক’রতে হবে।

১৭ মে থেকে গণপরি’বহন চালা’নোর বি’ষয়ে রে’লমন্ত্রী নুরুল ইস’লাম সুজ’ন বলেছেন, ১৭ মে থেকে ট্রেন চালা’নোর বি’ষয়ে এখনো কো’নো নির্দেশ’না পা’ইনি। সরকার য’খনই চাইবে তখনই যাত্রী’বাহী ট্রে’নও চলবে। এক’ই কথা বলে’ছেন, নৌপরিবহন প্র’তিমন্ত্রী খালিদ মা’হমুদ চৌধুরীও। মন্ত্রিপ’রিষদ থেকে যখনই নির্দে’শনা দে’য়া হবে তখনই নৌ’যান চলাচল শুরু ক’রবে বলে জানান তিনি।

এভাবে নিয়ম মেনে বাস চা’লাতে খুব একটা আগ্র’হী নয় মালি’কপক্ষ। এ অবস্থায় কি হবে- জানতে চা’ইলে তিনি বলেন, জীবন যেমন জ’রুরি তেমনি জী’বিকাও দর’কার। আর এ দুটোকে সমন্বয় করতে গেলে এর বি’কল্প কিছু নেই।

ঈদের সময় সর’কারি কর্মজী’বী’দের স্টেশনে থাকতে বলার কারণ জান’তে চাইলে তিনি বলেন, দেশে বর্ত’মানে জরুরি পরি’স্থিতি বিরা’জ করছে। আর জ’রুরি পরিস্থিতিতে সরকারি ক’র্মজী’বীদের দায়’দায়িত্ব বেশি। যে কোনো সময় যে কোনো দা’য়িত্ব পড়তে পারে। এই দা’য়িত্ব পালনের জন্য সরকা’রি কর্মজী’বীদের স্টেশন ছা’ড়তে না করা হয়েছে।

ঈদে চারদিন গণপ’রিবহন ব’ন্ধ থাকার কারণ জানি’য়ে তিনি বলেন, আমাদের দেশে ঈদ উৎসবে সবাই গ্রামের বাড়ি যেতে চান। এর ফলে বাসে, বাসে’র ছাদে, ট্রেনে, ট্রেনের ছাদে, নৌ’কা’য়, লঞ্চে যে যেভাবে পারেন সবাই গ্রামের বাড়িতে ছুটেন। কিন্তু এবার করো’নায় দেশের পরিস্থিতি ভালো না, মানু’ষকে বলা হচ্ছে ঘরে থাকতে।

তবুও মানুষ ঘরে থাকছেন না। একপর্যায়ে জী’বিকার তাগিদে ভিড় কম হয় এমন কিছু প্র’তিষ্ঠান খুলে দিতে হয়েছে। কিন্তু ঈদের স’ময় গণ’পরিবহন চালু থাকলে মানুষের ভিড় বেশি হবে। এতে সংক্র’মণের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে। মূ’লত সংক্রম’ণের ঝুঁ’কির কারণেই ঈদের সময় চারদিন গণপ’রিবহন ব’ন্ধ থাকবে।

এদিকে ব্যবসা’য়ী, সাধারণ ক্রেতা, পরিবহন খাতের সংশ্লিষ্ট ব্য’ক্তিরা বলছেন, সীমিত আকারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরি’বহন চালুর সিদ্ধান্ত নেয়া উচি’ত। এজন্য তাদের প্রস্ততিও রয়েছে।

তারা বলছেন, স্বাস্থ্য’বিধি মেনে সী’মিত আকা’রে গণপরি’বহন চালানো যায়। এ অবস্থায় গত সোমবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞা’পনে ঈদুল ফিতরে দূরপাল্লার যানবাহন বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়। এছাড়া সড়’ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে একই দিন সংবাদ বি’জ্ঞপ্তি দি’য়ে জানানো হয়েছে, সা’ধারণ ছু’টির সঙ্গে সংগতি রেখে গণপরি’বহন বন্ধ থাক’বে আগামী ১৬ মে পর্যন্ত।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমি’ত পরিসরে দো’কানপাট ও শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে খুলে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। এরপরই ব্যবসা’য়ী নেতা ও ক্রেতারা ব’লছেন, সী’মিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মানা’র শর্তে দোকা’নপাট খুলে দেয়া হলেও তারা যাতায়া’ত করবেন কিভাবে? এজ’ন্য সী’মিত আকা’রে গণপরি’বহনকে ‘লাচল করতে দেয়া উচিত। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মা’লিক সমিতির সভাপতি মো. হে’লাল উদ্দিন দুয়েক দিন না গেলে বিষয়টি সম্প’র্কে বলতে পারব না।

রাজধানীসহ সারা’দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সর’কার ঘোষিত সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটি ১৬ মে পর্যন্ত বা’ড়ানো হয়েছে। সাধারণ ছু’টিতে সারাদেশ কার্যত ‘লক’ডাউন’ অবস্থায় থাকার কথা। প্রথম’দিকে ‘সব বন্ধ’ রেখে ক’ঠোরভা’বেই ‘ঘরবন্দি’ অবস্থা চলছিল। তবে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ‘অবরুদ্ধ’ প’রিস্থিতি কয়েক দিন ধরে ভে’ঙে পড়েছে।

বিশেষ করে দি’মজুর, গৃহক’র্মীসহ রোজ কাজের ওপর নির্ভশীল মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে পড়ছে। তৈরি পো’শাক কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। তবে দূর’পাল্লার বাস বন্ধ থাকায় পোশাককর্মীরা আইন পরিপন্থি হলেও পণ্যবাহী গা’ড়িতে কর্ম এলা’কায় ফিরতে বাধ্য হচ্ছেন। রাতে’র আঁ’ধারে সাধারণ যা’ত্রীদের একটি অংশ এক জে’লা থেকে অন্য জেলায় যাচ্ছেন পণ্যবা’হী গা’ড়িতে। সে কারণে সীমিত আকারে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর পক্ষে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin