করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী সৃষ্ট পরিস্থিতিতে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে ২৮ হাজার ৮৪৯ জন প্রবাসী কর্মী দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন।
বুধবার অনুষ্ঠিত পঞ্চম আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন করোনাভাইরাসের কারণে বিদেশে আটকেপড়া প্রবাসী কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনব এতে কোনো সন্দেহ নেই। তাদের আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন মালদ্বীপ থেকে বৃহস্পতিবার ৪০০ প্রবাসী আসবেন। আগে কিছু এসেছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেছেন ১৫০০ আসবে। আমরা অবশ্যই তাদের গ্রহণ করব।
ড. মোমেন বলেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৩ হাজার ৭৯৫ জন বাংলাদেশি ফেরত এসেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই সেখানকার জেলে ছিলেন এবং তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হয়েছে। এছাড়াও ওমরাহ পালনকারী কিছু এসেছেন। কিছু অনিবন্ধিত শাস্তিপ্রাপ্ত প্রবাসীও ফিরেছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত শুধু বাংলাদেশ নয় ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিকদের ফিরিয়ে দিচ্ছে। ভারত সেদেশ থেকে প্রায় ২ লাখ নিজস্ব নাগরিক ফেরাতে মহাপ্রকল্প নিয়েছে।
এছাড়া ভারত, চীন, জাপান এবং সিঙ্গাপুরে গিয়ে যেসব বাংলাদেশিরা আটকে গেছেন এমন ২ হাজার ৮৫৩ জনকে ফেরত এনেছি। আরও কিছু আনার জন্য ভাড়া করা ফ্লাইটের ব্যবস্থা করছি। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ফেরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ড. মোমেন বলেন আমাদের জানা মতে কুয়েতে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্যাম্পে আটকে রাখা হয়েছে। আমরা জেনেছি তাদের ঠিকমতো খাবার দেয়া হচ্ছে না। মিশন তাদের খাবারের ব্যবস্থা করছে। কুয়েত সরকার যখনই চাইবে তখনই আমরা তাদের নিয়ে আসব। কুয়েত সরকার নিজেরাই ফ্লাইটের ব্যবস্থা করে তাদের ফেরত পাঠাবে। যখনই তারা ফ্লাইট শিডিউল দেবে তখনই তাদের গ্রহণ করব। আমাদের এয়ারলাইন্স চালু হলেই বাকি প্রবাসীরা যখনই চান আসতে পারেন।
মন্ত্রী বলেন সৌদি আরব বলেছে ৪ হাজার ২০০ জনের মত ফেরাতে পারে। জর্ডান ওমান লেবানন থেকেও ফেরত আসার সম্ভাবনা আছে। লেবাননে তারা ঝামেলায় আছেন। তাদের আইওএমের মাধ্যমে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কাতার ও ইরাক থেকেও ফিরছে। ইরাকে বড় সংখ্যা প্রবাসীর চাকরি চলে গেছে। তাদেরও ফেরত আনার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন মধ্যপ্রাচ্য থেকে অনেকে দেশে ফিরছেন। আমাদের দেশে সঙ্গরোধের (কোয়ারেন্টাইন) কতটুকু ব্যবস্থা আছে তা যাচাই-বাছাই করে তাদের আমরা ফেরত আনছি।