সিরাজগঞ্জ বেলকুচি উপজেলার ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের শালদাইড় গ্রামের ৩৮ বছরের এক গৃহব’ধূকে শ্লীল’তা’হা”নির অভিযোগ উঠেছে ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুস সাত্তার প্রমানিকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত সাত্তার উক্ত ইউনিয়নের চর জোগনালা গ্রামের একাব্বর প্রামানিকের ছেলে।
এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, গত সোমাবার রাতে ত্রান দেওয়ার কথা বলে সাত্তার তার নিজ এলাকায় গৃহবধূকে ডেকে নিয়ে পাশের ঝোপের ভিতর নিয়ে গৃহব’ধূর উপড় ঝাঁপি’য়ে পড়ে। এসময় ওই গৃহবধূকে কু-প্র’স্তা”বসহ শরীরে স্পর্শ’কাত’র স্থানে হাত দেয়। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে অভিযুক্ত সাত্তার বিভিন্ন জায়গায় দোড় ঝাপ শুরু করছে। তবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য স্থানীয় জিল্লুর রহমান, হাসমত, রিপন ফকিররা পায়তারা করছেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, ত্রানের স্লিপ দেবে বলে আমার ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে রাত ৯ টায় দিকে পাশের বাড়ি আব্দুল সামাদ শেখকে সাথে করে সাত্তার প্রামানিকের বাড়ির উদ্দেশ্যে যাই। কিন্তু সাত্তার প্রমানিক রাস্তায় থেকে আব্দুল সামাদ শেখকে দাড়াতে বলে। আর আমাকে বলে যে ইউপি সদস্যর কাছ থেকে ভোটার আই ডি কার্ড ঠিক করতে হবে এই বলে আমাকে তার সাথে আসতে বলে। কিছু দুর যাওয়ার পরে আমাকে কু-প্র’স্তা’ব সহ শরী’রে’র স্পর্শ’কাত’র স্থানে হাত দেয়। এই ঘটনাটি এলাকাবাসীকে জানালে জিল্লুর রহমান নামের এক মাতব্বর স্থানীয় ভাবে মীমাংসা করার আশ্বাস দেন।
ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে দলের মধ্যে এমন লোক না থাকাই ভালো। এধরনের লোক থাকলে দলের ভাবমুর্তিক্ষুন হবে।
এ বিষয়ে ভাঙ্গাবাড়ি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী জানান, গৃহব’ধূর শ্লীলতা’হানি’র ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন দলীয় নেতাকর্মী নিয়ে আমরা বসে দলীয় ভাবে তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বেলকুচি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এ কে এম ইউসুফজী খাঁন বলেন, এই ঘটনা এখন পর্যন্ত আমি জানি না। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। তবে এই ঘটনার যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে দল থেকে বহিস্কার করা হবে।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় আমার কাছে এখনো কোনো অভিযোগ আসেনি। তবে আমাদের কাছে অভিযোগ এলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সুত্রঃ আমাদের সময়