করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে পুরো বিশ্ব। বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস। এই ভাইরাসের ভ্যাকসিনের খোঁজে তোলপাড় চলছে গোটা বিশ্বে। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ৮০টি জায়গায় গবেষণা চলছে।
করোনার ভ্যাকসিন তৈরির গবেষণা অনেকেই শেষ করে ফেলেছেন বলেই অনেক গবেষক দাবি করেছেন। এদিকে এই তালিকায় সবার চেয়ে এগিয়ে আছে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে গেছে, এখন কেবল গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষা আছে তারা।
তাদের তৈরি এই ভ্যাকসিন করোনা ঠেকাতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছে গবেষকরা। সিনোভাকের দাবি, বানরের শরীরে অভুতপূর্ব সাফল্য মিলেছে এই ভ্যাকসিনের। তবে গণহারে উৎপাদন করার জন্যে এখনো অনেকগুলো ধাপ পেরোনো বাকি তাদের।
সিনোভ্যাক চীনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে এপ্রিল মাসে একশ ৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালগুলোর প্রথম দুটি পর্যায়ের পরে জুনের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী কম্পানিটি।
সংস্থাটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক পরিচালক মেং উইং বলেন, বর্তমানে আমরা ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তৃতীয় ধাপের জন্য কয়েক হাজার লোকের প্রয়োজন হবে। তবে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য কোন দেশ থেকে এই পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবী পাওয়া সহজ নয়। পরবর্তী ধাপে সাফল্য পেলেও সিনোভ্যাক পুরো বিশ্বের জনগণের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টিকা তৈরি করতে সক্ষম হবে।
সিনোভ্যাকের এই আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক বলেন, ব্যাপক হারে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সংস্থাটি বিদেশি অংশীদারদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। গবেষণা কাজের পাশাপাশি সিনোভ্যাক ব্যাপক উৎপাদনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। ভ্যাকসিনটি তৈরির জন্য আমরা এক মিনিটও অপচয় করি না।