অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রো-বায়োলজিস্ট এলিসা গ্রানাটো এবং ক্যান্সার গবেষক এডওয়ার্ড ও’নেইলকে কয়েকদিন আগেই প্রথম করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। পরীক্ষামূলক এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ কোভিড-১৯ ভাইরাসের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর, সে রিপোর্ট আসতে এখনও অপেক্ষায় রয়েছেন গবেষকরা।
কিন্তু বৃটিশ এক চিকিৎসা বিজ্ঞানি যে সতর্কতামূলক বার্তা দিয়েছেন, তাতে করে বিশ্ববাসীর কপালে নতুন করে চিন্তার রেখাপাত ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা স্যার প্যাটট্রিক ব্যালান্স সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যদি নিশ্চিতভাবে করোনার ভ্যাকসিক আবিষ্কার হয়েই যায়, তবুও এই মুহূতে সেই ভ্যাকসিনের ওপর সম্পূর্ণ নির্ভর হওয়া যাবে না।’
ব্রিটেনে মনে করা হচ্ছে যে, কিছু কিছু ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রায় ঝুঁকি সত্ত্বেও সরকারের লাইসেন্স দেয়ার আগেই এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করা হতে পারে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের অনেকেই ঝুঁকির বিষয়টা জেনেও এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারেন।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের একটা সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেটা হচ্ছে, এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করার ফলে মানব শরীরের রোগ প্রতিরোধ করার যে ক্ষমতা রয়েছে, সেটাতে ভয়ঙ্করভাবে ওলট-পালট হতে পারে। স্যার প্যাটট্রিক বলেন, ‘কোনো কোনো ভ্যাকসিন হয়তো সফলভাবে কাজও করতে পারে। কিন্তু সেটা মানব শরীরের জন্য কতটুকু নিরাপদ, তা সবার আগে দেখা প্রয়োজন।’