শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন

মোদিকে কড়া বার্তা আফ্রিদির

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯
  • ১৩৪১ Time View

কাশ্মীরে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বর্বরতার বিরুদ্ধে নিজে, সমগ্র পাকিস্তান জাতি, দেশটির সরকার ও সেনাবাহিনী কাশ্মীরিদের সঙ্গে থাকবেন বলে জানিয়েছেন সাবেক পাক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। শুক্রবার করাচিতে কায়েদ-ই-আজম সমাধীতে ‘কাশ্মীর আওয়ার’ সমাবেশে যোগ দেন তিনি। তাতে এসব কথা বলেন বুমবুমখ্যাত ক্রিকেটার।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে এদিন গোটা পাকিস্তানে ‘কাশ্মীর আওয়ার’ পালিত হয়। কাশ্মীরি ভাই-বোনদের প্রতি সংহতি জানাতে তিনি দুপুর ১২টায় সারাদেশের মানুষকে আধা ঘণ্টা রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।

তার আবেদনে সাড়া দিয়ে এসময় কায়েদ-ই-আজম সমাধীতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরে হাজির হন আফ্রিদি। তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদি ক্ষমতায় আসার আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। আমরা প্রতিবেশিদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চাই না। আমাদের পুরো জাতি তথা দেশের মানুষ শান্তি চায়। কিন্তু মোদি সরকার এমন কিছু চায় না।

আফ্রিদি বলেন, সব ভারতীয় নয়, আপনি (মোদি) এবং আপনার অনুসারীরা বিশ্বের কাছে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। সেখানে শিক্ষিত ও ভালো মানুষও আছে। তারা ভালো পরামর্শ দেন। সাধারণ জনগণ তাদের কথা শোনেন।

ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ওই সময় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এখন যুদ্ধের সময় নয়। আমরা ও আমাদের প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নতি করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আপনার (মোদি) থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।

সাবেক পাক অলরাউন্ডার বলেন, মনে করি, আপনি সেখানে (কাশ্মির) নারী ও শিশুদের ওপর বর্বরতা চালাচ্ছেন। এর বিরুদ্ধে আমি কাশ্মীরি ভাই-বোনদের পাশে আছি। সমগ্র পাকিস্তান জাতি, দেশের সরকার ও সেনাবাহিনী তাদের সঙ্গে থাকবে।

নিজের পোশাক দেখিয়ে আফ্রিদি বলেন, আমি সেনার ক্যাপ ও শার্ট পরেছি। আমি এ দেশের একজন সৈনিক এবং তা-ই থাকব। সবশেষে পাকিস্তানকে সর্বদা ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান তিনি। লালাখ্যাত পাক সুপারস্টার বলেন, আমি দেশের জনগণের কাছে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই-আপনারা সবসময় খারাপ পরিস্থিতির জন্য অপেক্ষা করবেন না। দুর্দিনে দেশের সরকার, বিরোধী ও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

আরো সংবাদ

কাশ্মীরকে স্বাধীন করার সূবর্ণ ও ঐতিহাসিক সুযোগ এসেছে : ইমরান খান

ভারতীয় সংবিধান থেকে ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কাশ্মীরিদের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ঐতিহাসিক ভুল করেছে বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, এই ভুলের কারণে কাশ্মীরিদের স্বাধীনতা পাওয়ার ঐতিহাসিক এক সুযোগ এসেছে।

তার মতে এই সুযোগ কাজে লাগাতে পারলে কাশ্মীর স্বাধীন হয়ে যাবে। আজ (২৬ আগস্ট) জাতীর উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন। ইমরান খান বলেন, ক্ষমতায় আসার পর একাধিক বার ভারতের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। বলেছিলাম, শান্তি স্থাপনে ভারত এক পা এগোলে, চার পা এগোব আমরা। কিন্তু আলোচনায় বসতেই রাজি হয়নি ভারত।

সবকিছুর জন্য শুধু পাকিস্তানকে দায়ী করে গিয়েছে। সন্ত্রাসে মদত জোগানোর অভিযোগ তুলেছে। তিনি বলেন, ভারতে উগ্র হিন্দুপন্থী নামে পরিচিত সংগঠন আরএসএস এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুলের কারণে কাশ্মীরিরা স্বাধীনতার সুযোগ পাবে। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যা এখন আর কোনো দ্বিপাক্ষিক সমস্যা নয়।

এটি এখন আন্তর্জাতিক সমস্যা। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে পেরেছি; এটাই বড় সাফল্য। আমরা এটা নিয়ে জাতিসংঘে যেতে পেরেছি; এটাই আমাদের সফলতা। কাশ্মীর সিদ্ধান্তের জন্য বিজেপি এবং সঙ্ঘের হিন্দুত্ববাদ আদর্শকেও দায়ী করেন ইমরান। বলেন, জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বিলোপ করেছে ভারত সরকার। উপত্যকাকে ভেঙে দু’টুকরো করেছে।

এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘের নিয়ম নীতির তোয়াক্কাও করেনি ওরা। নিজেদের দেশের সুপ্রিম কোর্টেরও পরোয়া করেনি। মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরু কাশ্মীরবাসীকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার বিরুদ্ধে গিয়ে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধানেরও পরিপন্থী। বিজেপি এবং আরএসএস-এর শুধু একটাই লক্ষ্য, হিন্দুস্তান শুধু হিন্দুদের।

বাকিদের সেখানে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে থাকতে হবে। ইমরান খান বলেন, ফ্যাসিবাদী আদর্শে বিশ্বাসী আরএসএস। মোদী পূর্ববর্তী সরকার তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করেছিল। হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা দেওয়ায় মহাত্মা গান্ধীকেও খুন করেছিল ওরা। তিনি বলেন, পবিত্র কোরানের আদর্শে বিশ্বাস করি আমরা। তাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় বিশ্বাস করি। আরএসএস-এর আদর্শ সম্পূর্ণ বিপরীত।

ভারতকে হুঁশিয়ারি দিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা কাশ্মীরের এক ইঞ্চিও ছাড়তে রাজি নয়। আমরা কাশ্মীরের স্বাধীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত লড়ব। তিনি আরও বলেন, মনে রাখতে হবে, এই অঞ্চলটিতে যদি কোনো সময় পারমাণবিক যুদ্ধ লেগে যায়, তাহলে কেউই জয়লাভ করবে না। এই যুদ্ধের ফলে ভোগ করবে সারা বিশ্ব। তাই এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর নির্ভর করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
© All rights reserved © 2019 bhabisyatbangladesh
Developed by: A TO Z IT HOST
Tuhin