পাথর আহমেদ ভবিষ্যত বাংলাদেশ: আগামী ৩০শে নভেম্বর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন। কে আসছেন নগরের অভিভাবকের দায়িত্বে? মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী মমতাময়ী মা দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পছন্দের প্রার্থী হিসেবে কে আছেন বিবেচনায়?এমন প্রশ্নের উত্তর খুজতে আমাদের প্রতিনিধি হাজির হয়, তৎকালীন সিনিয়র ও সাবেক -বর্তমান নেতৃবৃন্দের কাছে। কে আসছেন আগামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে?
এমন প্রশ্নের উত্তরে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বে থাকা একাদিক নেতা বলেন। ঢাকা মহানগরে এক সময় রাজপথে আন্দোলন করার কর্মী পাওয়া কঠিন ছিলো। আমরা নিজেরা শ্লোগান দিয়েছি, আবার ব্যানার ধরেছি, মিছিল করেছি, রাতের অন্ধকারে পোষ্টার লাগিয়েছি। আমাদের সংখ্যা ছিলো মাত্র কয়েক জন। তখন শাহ আলম মুরাদ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রনেতা। সে ছিলো মেধাবী শিক্ষিত সমাজসেবক ও সাহসী- বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর নেতৃত্বে, সে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত পদ লাভ করেন। ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা কালিন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল নেতৃত্বে কঠিন ভূমিকায় সে ও তার লোকজন সহ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে উপস্থিত থাকতেন। সিনিয়র নেতৃবৃন্দ যা বলতেন তিনি তা নিজের জীবন বাজি রেখে দলবল সহ ঝাপিয়ে পরতেন রাজপথে। তার সফল নেতৃত্বের গুণে মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী খুশি ও সন্তুষ্ট হয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে শাহ আলম মুরাদ কে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করেন।
শাহ আলম মুরাদ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা সময় মহানগর উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর সকল থানা ওয়ার্ড পর্যায়ে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। গুলিস্তান ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলীয় অফিসের সামনে ২১শে আগস্ট গ্রেনেট হামলার সময়, মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা কে মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী মায়া ও শাহ আলম মুরাদ সহ তাদের অনুসারীরা মানবঢাল তৈরী করে নেত্রীর জীবন রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে।
বিএনপি জামায়াত শিবিরের পাতানো সেনা-সমর্থিত তও্বাবধায়ক সরকারের বিরুদ্ধে শাহ আলম মুরাদ কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে ২৫ লক্ষ গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে আইনি লড়াই চালিয়ে মাননীয় নেত্রীর মুক্তির বিজয় লাভ করেন। তার ভূমিকায় মাননীয় নেত্রী তাকে ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেছেন ও ১৪ দলের সমন্বয়ক এর দায়িত্ব দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতি চাঁদাবাজি সন্ত্রাসীর অভিযোগ নেই, তাই সে কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে জনপ্রিয়, আগামী ৩০ নভেম্বর ঢাকার দায়িত্ব শাহ আলম মুরাদ কে দিবেন বলে আমরা মনে করি। এবং দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র পদে শাহ আলম মুরাদ কে বিবেচনায় রেখেছেন বলে মনে হয় মাননীয় প্রাধানমন্ত্রী। সকলে অপেক্ষা করুন দেখতে থাকুন মাননীয় নেত্রীর উপরে বিশ্বাস রাখুন। নেত্রী ভালো মানুষের সাথে আছেন থাকবেন।
এ ব্যাপারে কথা হয় দনিয়া ইউনিয়ন ছাত্র নেতা মোঃ আসলাম নাজির এর সাথে। তিনি বলেন আল্লাহ্চাহেতু সব ঠিক থাকলে আমাদের নেতা ভাল একটা পদে জায়গা পাবেন বলে আমরা আশাবাদী। এবং আগামী দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও দলীয় সমর্থন পাবেন ইনশাআল্লাহ।